কবিতা প্রকৃতি? অতঃপড়
প্রকৃতি? অতঃপড়
মোঃজাহাঙ্গীর আলম
আধুনিকতার ছোঁয়ায়,
প্রকৃতি হারিয়ে যায়।
প্রকৃতির দান-দক্ষিণায়,
মানব, প্রাণীকুল বেঁচে যায়।
যেভাবে করছি প্রকৃতি ধ্বংস
প্রতিনিয়ত হচ্ছি ক্ষতিগ্রস্থ,
যদি প্রকৃতির সাথে করো বিরোধ
প্রকৃতি নিবে চরম প্রতিশোধ।
যদি চাও আগামী সুন্দর পৃথিবী
তাহলে বাঁচাও সকল প্রকৃতি।
বাঁচাও ধরণী, বাঁচাও সকল কৃষিজমি
বাঁচাও বিল-নদী-খাল, বাঁচাও সকল বনভূমী।
প্রকৃতির করুণায় পাই শক্তি,
প্রকৃতিতে মিলে মানব কল্যাণের মুক্তি।
আমরা বাংলাদেশী আমাদের ছিলো গোয়াল ভরা গরু,পুকুর-নদী ভরা মাছ
ছিলো গোলা ভরা ধান, সোনালী আঁশ আর ফলজ-বনজ-ঔষধি গাছ।
আধুনিকতার প্রতিযোগীতায়
দিনে দিনে বাড়ছে শিল্পায়ন,
কৃষি, বনভূমি উজাড় করে, যত্রতত্র হচ্ছে নগরায়ন।
জলাধার অদৃশ্য হয়ে,প্রসারিত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা,
খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ বাংলাদেশ হবে একদিন,দূর্ভিক্ষের অবস্থা।
কোথায় আমাদের খাদ্য উৎপাদনের ফসলের জমি?
কোথায় সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা গ্রাম?
দিনবদলের মাতাল উন্মাদনায় ব্যস্ত সবাই,
গ্রামকে করছে গ্রাস নগরায়ণ ও শিল্পায়ন বানাবার সংগ্রাম।
আ়ন়ম় বজলুর রশীদ,বন্দে আলী মিয়া,জীবনান্দ দাস,
পল্লী কবি জসীম উদ্দীন আরো কত কবি গ্রামকে নিয়ে লিখেছেন অনেক কবিতা
শহর হচ্ছেনা গ্রাম কিন্তু গ্রাম হচ্ছেশহর,নগরায়ন,শিল্পায়নের দুষ্ট প্রতিযোগীতা।
বিল-নদী-খাল-পাহাড়-পর্বত,বনভূমী হচ্ছে ধবংশ,এক কথায় প্রকৃতি নষ্ট,
হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন,বৈশ্বিক উষ্ণায়ন,এসিড বৃষ্টি
দিন দিন বাড়ছে ও বাড়বে মানুষের দুর্ভোগ,আজীবন কষ্ট।
নগরায়ণ ও শিল্পায়ন
প্রকৃতির সাথে করছে দূর্বৃত্তায়ন।
গভীর চক্রান্তে হচ্ছে ষড়যন্ত্র,
বাংলাদেশে থাকবেনা কৃষিজমি,প্রকৃতি
দেখা দিবে অভাব,দূর্ভিক্ষ।
আমার ঘরে থাকে যদি বস্তা ভরা টাকা
না থাকে যদি কোন খাদ্য
টাকা দিয়ে কী করবো আমি?
খাবার ছাড়া কীভাবে বাঁচবে মানুষ আছে কার সাধ্য?
খাবারের কারণে হারিয়ে যাবে নৈতিকধর্ম
বাড়বে চুরি-ডাকাতি,রাহাজানি ও কুকর্ম।
হে বঙ্গবাসী হও সচেতন,
কৃষি,বন,পাহাড় ও জলাধার বাঁচিয়ে
করো স্থায়ী চলমান সবসময় খাদ্য সংরক্ষণ।
তাহলে বাঁচবে বাংলার মানুষ,বাঁচবে ফসল ভরা দেশ
থাকবেনা অভাব আর দূর্ভিক্ষ,
বাংলা হবে সবসময় খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ণ সোনার বাংলাদেশ।
No comments
Thanks for your comment.