কেন প্রতিটি কোম্পানির উচিত শ্রমিকদের এক বছরের বেতন আমানত হিসেবে সংরক্ষিত রাখা ?
এই নিয়ম যদি সব কম্পানি মেনে চলতো তাহলে অতিতে কোরানা ভাইরাস এর মহামারির সময় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে ইতিহাসের বড় অর্থনৈতিক চাপ,, অর্থনৈতিক ধাক্কার স্বীকার মানুষ হত না। দেশে যদি কঠিন দূর্যোগে দেখা যায় তাহলে কম্পানি শ্রমিকদের রক্ষা করতে পারবে যদি শ্রমিকদের এক বছরের বেতন আমানত হিসেবে সংরক্ষিত রাখা হয়।
মনে করুন প্রতিটা কলকারখানার কিছু না কিছু চায়না থেকে আসবেই চায়নার সাহায্য ছাড়া দেশের অসংখ্য কলকারখানা কর্মসংস্থান অচল। সেই চায়নার সাথে আমেরিকার একটি যুদ্ধ হলো ( উদাহরণ হিসেবে মনে মনে ধরুন ) সব কলকারখানা বেশির ভাগ কর্মসংস্থান অচল হয়ে গেলো। এমন সময় কাজ না থাকা শর্তেও কোম্পানি বেতন দিচ্ছে তাহলে এ কোম্পানির শ্রমিক গোষ্ঠী অন্য কোথাও কাজের সন্ধান করবে না ভবিষ্যতেও কম্পানিকে চাপে পড়তে হবে না।
কোম্পানির ইন্সুরেন্স আছে শ্রমিকদের ইন্সুরেন্স কোথায় ? কোম্পানি কি শ্রমিকদের ইন্সুরেন্স হতে পারেনা ? এক বছরের বেতন আমানত হিসেবে কম্পানির কাছে জমা থাকা ক্ষুদ্র ইন্সুইরেন্স এর থেকে কম নয়।
একটি কোম্পানিতে হঠাৎ বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে বা কোম্পানির কাজ বন্ধ থাকতে পারে। কোম্পানির উচিত শ্রমিকদের এক বছরের বেতন আমানত হিসাবে রাখা। আমরা ইন্সুরেন্স কেন করি হঠাৎ বিপদ আসলে যেন সব ধুয়ে মুছে শেষ হয়ে না যায় বিষয়টা অনেকটা তাই।
করোনা মহামারীতে দেখা গিয়েছে যে যাদের সরকারি চাকরি আছে তারা প্রতি মাসে মাসে বেতন পেয়েছে আর যারা বেসরকারি চাকরি করতেন তারা শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন এক বারের জন্য। বাংলাদেশের বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য করোনা মহামারী একটি অনেক বড় একটি অভিশাপ। কতটা অভিশাপ যারা করোনা মহামারী এর অর্থনৈতিক চাপ এর সম্মুখীন হয়েছেন তারাই জানেন। বেতন আটকে থাকা বা ইনকাম সোর্স বন্ধ হওয়া একটা পরিবারের উপর কত বড় একটা অশান্তি কত বড় একটা দুশ্চিন্তা যারা সংসার করেন একমাত্র তারাই শুধু ব্যাপারটা বোঝেন। যার ব্যবসা আছে তার ব্যবসা যদি দিনদিন ডাউন হতে থাকে এটা তাঁর জন্যে কত বড় দুশ্চিন্তা যার ব্যবসায় সেই শুধু বোঝে। এইজন্য প্রতিটা কোম্পানির উচিত শ্রমিকদের এক বছরের বেতন আমানত হিসেবে সংরক্ষণ রাখা।
No comments
Thanks for your comment.