জহুরুল ইসলাম
জহুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সমসাময়িক কালের শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম যার নাম উল্লেখ করতে হয় তিনি হলেন শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম। এ সফল উদ্যোক্তা ১৯২৮ সালে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানাধীন ভাগলপুর গ্রামে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল আফতাব উদ্দিন এবং মায়ের নাম রহিমা আক্তার খাতুন।। তিনি পেশায় ছিলেন এক সামান্য কন্ট্রাক্টর। শিল্পপতি জহুরুল ইসলামের পড়ালেখা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। তিনি কলকাতার রিপন হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এই সফল শিল্প উদ্যোক্তার কর্মজীবন শুরু হয় সরকারি চাকুরির মাধ্যমে। তিনি চাকুরির কে কর্মজীবন এর বাহন হিসেবে গণ্য না করে শুরু করেন ব্যবসায়ী জীবন। ১৯৫১ সালে তিনি তৃতীয় শ্রেণীর ঠিকাদার হিসেবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন এর পর তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীর ঠিকাদার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি অসাধারণ আগ্রহ উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও পরিশ্রমের ফলে সার্থক শিল্প উদ্যোক্তার ও অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। তিনি প্রথম পূর্ব পাকিস্তান হও বাংলাদেশে Real East ব্যবসায় শুরু করেন। তিনি চট্টগ্রামে একটি টিম্বার ফ্যাক্টরী ও জিঞ্জিরায় একটি গ্লাস ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন পরবর্তীতে ব্যবসায় সফলতা ও সাফল্য লাভের মাধ্যমে শুরু হয় নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। যার মধ্যে রয়েছেঃ ১) মিলনার্স লিমিটেড ২) ইস্টার্ন হাউসিং লিমিটেড ৩) নাভানা লিমিটেড ৪) এ্যাসেনশিয়াল প্রোডাক্টস লিমিটেড ৫) ঢাকা ফাইবার্স লিমিটেড ৬) ক্রিসেন্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ৭) নাভানা স্পোর্টস লিমিটেড ৮) ঢাকা রি-রোলিং মিলস লিমিটেড ৯) আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেড উল্লেখিত সকল প্রতিষ্ঠানে একত্রে বেঙ্গল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড ও ইসলামী গ্রুপ অফ কোম্পানিজ নামে পরিচিত। তাছাড়া তিনি বহু অনাথ আশ্রম, শিশু প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও স্কুল স্থাপন করেন এবং বাজিতপুর বেসরকারি উদ্যোগে দেশের সর্ববৃহৎ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৬ শে অক্টোবর বাংলাদেশের এই শিল্প সফল শিল্প উদ্যোক্তা ইহলোক ত্যাগ করেন।
No comments
Thanks for your comment.